প্রধান উপদেষ্টার শোক
ইস্টার সানডে’র পরদিনই মারা গেলেন পোপ ফ্রান্সিস
ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় :
২১-০৪-২০২৫ ০২:৩৬:০৩ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
২১-০৪-২০২৫ ০৭:৫২:০৯ অপরাহ্ন
ফাইল ছবি
খ্রিস্টান ক্যাথলিকদের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস মারা গেছেন। মৃত্যুর একদিন আগেও তিনি সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে হাজির হয়ে হাজারো উপাসকের উদ্দেশে ‘শুভ ইস্টার’ বার্তা প্রদান করেছিলেন। সোমবার (২১ এপ্রিল) সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটে মারা যান তিনি। ভ্যাটিকান এক ভিডিও বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। তাঁর বয়স হয়েছিলো ৮৮ বছর।
ভ্যাটিকানে কাসা সান্তা মার্তায় নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে জানিয়েছে ভ্যাটিকান নিউজ সার্ভিস। ভ্যাটিকানের মুখপাত্র কার্ডিনাল ফারেল এক বিবৃতিতে বলেন, তাঁর পুরো জীবন ছিল প্রভু ও তার গির্জার সেবায় নিবেদিত।
তাঁর মৃত্যুতে খ্রিস্টান সম্প্রদায়সহ গোটা বিশ্বে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত পোপ ফ্রান্সিসকে এ বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে বেশ কয়েকবার তাঁর শারীরিক অবস্থা বেশ গুরুতর পর্যায়ে চলে যায়। ভ্যাটিকান জানায়, শ্বাসপ্রশ্বাস-সংক্রান্ত জটিলতার কারণে পোপ ফ্রান্সিসকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। কদিন আগে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরেন পোপ।
ভ্যাটিকানের দাপ্তরিক ওয়েবসাইট ‘দি হোলি সি’–এর তথ্যমতে, পোপ ফ্রান্সিসের আগের নাম জর্জ মারিও বারগোগ্লিও। জন্ম ১৯৩৬ সালের ১৭ ডিসেম্বর, আর্জেন্টিনার বুয়েনস এইরেসের। বাবা মারিও আর রেগিনা সিভোরি। ইতালীয় অভিবাসী বাবা মারিও ছিলেন রেলওয়ের হিসাবরক্ষক।
কেমিস্ট হিসেবে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর ধর্মের পথে পা বাড়ান জর্জ মারিও। পরবর্তী সময়ে তিনি দর্শন ও ধর্মতত্ত্বে পড়াশোনা করেন। ১৯৬৯ সাল ধর্মযাজক হন। ১৯৯৮ সালে আর্জেন্টিনায় আর্চবিশপ হন তিনি।
বয়স ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে ২০১৩ সালে তৎকালীন পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট পদ ছেড়ে দিলে পোপ নির্বাচিত হন জর্জ মারিও। নতুন নাম নেন ফ্রান্সিস। দক্ষিণ আমেরিকার কোনো দেশ থেকে নির্বাচিত প্রথম পোপ তিনি।
১২ বছর ধরে রোমান ক্যাথলিক চার্চের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে পোপ ফ্রান্সিস বেশ কয়েকবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ২১ বছর বয়সে তাঁর একটি ফুসফুসের কিছু অংশ কেটে ফেলতে হয়েছিল।
পোপ ফ্রান্সিস ২০১৭ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন। এ সময় তিনি ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি উচ্চারণ করে সবার পক্ষ থেকে তাঁদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স